বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করলেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ষোষনা দিয়েছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা। মঙ্গলবার (০৩-০৪-১৮) দিনব্যাপি মাইকিং করে ঘোষনায় বলেন,তার উপজেলায় অনুমতি ছাড়া ইদানিং যেখানে সেখানে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে করে একদিকে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে,অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের মহোৎসব তার দৃষ্টিতে এলে এই ঘোষনা দেন নির্বাহি অফিসার।
স্থানীয়রা জানান,সরকারি নিতিমালা উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। এতে পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। প্রভাবশালী কিংবা দলীয় প্রভাবের কারণে পুকুর খননের কাজে প্রতিবাদ করেও এতদিন কোন সুফল মেলেনি। যার ফলে প্রতিযোগিতায় চলছে পুকুর খননের মহোৎসব।
অধিক মুনাফার আশায় অনেকেই জমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার আরিফপুর বিল, বারোখাদিয়ার বিল, বলিহার বিল, আড়পাড়া বিল, নওটিকা বিল, মোল্লাপাড়া বিল, ধন্দহ বিলসহ ফসলী ও বাগান জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। বাউসা হেদাতিপাড়ার ফসলি জমি ছাড়াও তেঁখুিলয়া অচীন তলায় পানি নিস্কাশনের ক্যানেলের মুখ বন্ধ করে পুকুর খননের কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ,পুকুর খননের কাঁদা-মাটি, কাঁচা-পাকা সড়কের উপর দিয়ে বহন করার ফলে, সড়কগুলো কাঁদামাটিতে পরিনত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে ওইসব মহলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
ইঞ্জিনিয়ার আখতার রহমান জানান,বিষয়টি কঠোর হস্তে দমন করতে না পারলে আগামীতে ফসলী জমির পরিমান কমে গিয়ে উপজেলায় খাদ্য শষ্যের মারাতœক ঘাটতি দেখা দিবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা বলেন,নিয়ম নীতি না মেনে পুকুর খননের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। অনুসন্ধানেও যার সত্যতা মিলেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্কতার জন্য প্রথমে মাইকিং করে জানিয়েছেন। এরপরে আইন লংঘনকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।